সিলেট প্রতিনিধি : মির্জা আতিক। ভয়ঙ্কর এক ছিনতাইকারী, একটু বাধা পেলে খুন করতেও হাত কাঁপে না তার। ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে দুই বছর আগে শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ছাত্র মাহিদ আল সালামকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলো সে। পুলিশের খাঁচায় আটকও হয়েছিলো। কিন্তু পাল্টায়নি তার চরিত্র। দুই বছর পর একই রকম ঘটনা সে ঘটিয়েছে আবারো। মির্জা আতিকের ছুরির আঘাতেই খুন হয়েছেন শহরতলির জালালাবাদ থানাধীন তেমুখি ইনাতাবাদ এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে আমির হোসেন (২৫)। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে ২৬ মে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যেও ছিনতাইকারী মির্জা আতিকই জড়িত। বুধবার আদালতের মাধ্যমে পুলিশ মির্জা আতিক ও আওলাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে পুলিশ আটক করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার আফতাবুল ইসলামের ছেলে মির্জা আতিককে।
পুলিশের এ অভিযানে ছিলেন কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, ওসি সেলিম মিঞা, ওসি (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, এসআই দেবাশীষ দেব,মো. ইবাদুল্লাহ। গ্রেপ্তার করা হয় তার সঙ্গী সিএনজি অটোরিকশাচালক দক্ষিণ সুরমার সিলাম টিলাপাড়ার সামছু মিয়ার ছেলে আওলাদ হোসেন। আটক করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশাও। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। ছিনতাইয়ের সময় বাধা পেয়েই তারা আমির হোসেনকে হত্যা করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় ছিনতাইকারীরাই আমির হোসেনকে হত্যা করেছে। পুলিশ যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে এর মধ্যে মির্জা আতিক আগেও এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। মির্জা আতিকের সাথে ছিনতাইয়ের এ সিন্ডিকেটে আর কারা জড়িত পুলিশ তাদেরও খুঁজে বের করা চেষ্টা করছে।
২৬ মে রাতে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে ছুরিকাঘাতে খুন হন আমির হোসেন (২৫)। পল্লবী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে বাইসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন আমির হোসেন। তখন কয়েকজন যুবক তাকে পথরোধ করে। তারা আমিরের বাম পায়ের উরুতে বড় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।হত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ঘাটিত না হলেও তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত আমির হোসেন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। ছিনতাইকারীরাই তাকে হত্যা করে। আমির হোসেনের হত্যার সাথে জড়িত মির্জা আতিক এর আগেও একই রকমভাবে হত্যা করেছিলো শাবি ছাত্র মাহিদ আল সালামকে।
২০১৮ সালের ২৫ মে রাত ১টার দিকে নগরীর কিনব্রিজের দক্ষিণ পাশে ছিনতাইয়ের শিকার হন মাহিদ আল সালাম। ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে তার সাথে থাকা ব্যাগ ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত মাহিদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মির্জা আতিক। আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন সেবারও।
নির্বাহী সম্পাদক : মহসিন রায়হান। ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আকরাম হোসাইন। সহ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ওমর ফারুক। আইন উপদেষ্টা : মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট বাংলাদেশ সু্প্রিম কোর্ট ঢাকা।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২১৯ মাজার রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।
📱 হটলাইন : ০১৭১৩৯২৬২৭৭, ০১৭১০১৪২০১৭।
📧 Email : khoborerdakghar@gmail.com
“দৈনিক খবরের ডাকঘরে” প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখক/প্রতিনিধির। আমরা লেখক/প্রতিনিধির চিন্তা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল সব সময় নাও থাকতে পারে । তাই যে কোনো লেখার জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। ডেইলি খবরের ডাকঘর কতৃপক্ষ।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত খবরের ডাকঘর নিউজ. কম ©২০১৮ ||
Leave a Reply