আব্দুল্লাহ আল হাদী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :-
বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ অনেকটা এককভাবেই মোকাবিলা করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনসহ নানা কারণে ১৯৭৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পালিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান এখন বাংলাদেশে। নানা জটিলতায় তাদের ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা সংকট। প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করলেন, করোনা পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বারবার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সঙ্কট অব্যাহত আছে এখনো। তবে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
নতুন পুরাতন মিলিয়ে দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। নানা সময় লোক দেখানো কিছু কার্যক্রম ছাড়া মোটেও এগোয়নি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময়ের শরণার্থী জীবন থেকে মুক্তি নিয়ে স্বদেশে ফেরার আকুলতা রোহিঙ্গাদের।
রোহিঙ্গারা জানান, ৫ বছর ধরে…, সবশেষ দুই মাস আগেও নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে এসেছে। সেখানে অনেক সম্পত্তি রেখে এসেছে, দেশের জন্য তাদের মন কাঁদে।
রোহিঙ্গাদের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা,তারা জানান ভূমি চাষাবাদ করে খেতে হয় আমাদের, কিন্তু রোহিঙ্গা আসার পর থেকে আমাদের চাষাবাদযোগ্য স্থানটুকু তারা বসবাস যোগ্য স্থান করে নেয় তখন আমাদের চাষাবাদ করে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
তাই করোনা মহামারিকে পুঁজি করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত না করতে মিয়ানমারকে বিশ্ববাসীর চাপ অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মাহামুদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করবো; করোনার এই সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যতদূর সম্ভব এগিয়ে নেয়ার।
আর প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করলেন, করোনা পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে আশা করি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে কাজের গতি পাবে।
এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করতে আমরা প্রস্তুত আছি। সরকার যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত নিলে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করবো।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। এরপর কয়েক দফা বৈঠকের পরও এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোন কার্যকর অগ্রগতি হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সামিউল্লাহ সামি। নির্বাহী সম্পাদক : মহসিন রায়হান। ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আকরাম হোসাইন। সহ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ওমর ফারুক। আইন উপদেষ্টা : মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট বাংলাদেশ সু্প্রিম কোর্ট ঢাকা।
প্রধান কার্যালয় : ২১৯ মাজার রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬। বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএকে টাওয়ার (৯ম তলা), প্লট নং ১/এ, নিশাত নগর, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
📲 মোবাইল : ০১৭১৩৯২৬২৭৭,০১৭১০১৪২০১৭।
📧 Email : khoborerdakghar@gmail.com
“দৈনিক খবরের ডাকঘরে” প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখক/প্রতিনিধির। আমরা লেখক/প্রতিনিধির চিন্তা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল সব সময় নাও থাকতে পারে । তাই যে কোনো লেখার জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। ডেইলি খবরের ডাকঘর 🗞
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত খবরের ডাকঘর. কম ©২০১৮ -২০২১||
Leave a Reply