শিমুল কান্তি পাল,স্টাফ রিপোর্টার ::- মৌলভীবাজারের বদরুন্নেছা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তারের গাফিলতির কারনে সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ৯ টায় ঘটনাটি ঘটে। লিলি বেগম মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বলিয়ারবাগ গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আহাদ মিয়া স্ত্রী।
অভিযোগ রয়েছে ইতিমধ্যে একাধিক ভুল চিকিৎসা বা ডাক্তারের অবহেলার কারণে অনেক গর্ভবতী মহিলার প্রাণ ঝড়ে গেছে অকালে। হয়েছে অনেক প্রতিবাদ তবুও বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
গত বুধবার রাতে সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা লিলি বেগম চিকিৎসা নিতে আসেন বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবার নামে লিলি বেগমের পরিবারকে আতংকিত করে তুলেন এবং বলেন গর্ভবতীকে সিজার না করালে তাকে বাঁচানো যাবেনা তখন লিলির পরিবারকে বাধ্য করা হয় সিজার করাতে। একপর্যায়ে লিলিকে সিজার করার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে এর কিছুক্ষণ পর জানানো হয় লিলি মারা গেছেন এরপর থেকে ডাক্তার নার্স আয়া পর্যন্ত পালিয়ে যান।
পরিবার সহ স্থানীয়দের অভিযোগ বদরুন্নেসা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কোন চিকিৎসা না দেয়ায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের লোকজন বলেন,আমরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছি পরীক্ষা করানোর জন্য অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান গর্ভবর্তী মহিলার সিজার করতে হবে তা না হলে রুগিকে বাঁচানো যাবেনা। ফলে সিজার করতে নিয়ে যান এর কিছুক্ষন পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান গর্ভবতী নারী মারা গেছেন তখন পরিস্থিতির ঘোলাটে হবে ভেবে তাংক্ষনিক ডাক্তার,নার্সসহ স্টাফ কর্মচারী সবাই প্রায় ২ঘন্টা গা ঢাকা দেন।
যার জন্য রোগীর অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী করা তীর সরাসরি গিয়ে পড়েছে বদরুন্নেসার ডাক্তার ও সংশ্লিষ্টদের উপর।স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স, আয়াসহ অন্যন্যেদের দেখতে না পেয়ে সবাই হতাশ হয়ে যান এবং হাসপাতালটিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সবার একটাই প্রশ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালাবে কেন,কারণ কি ও বাচ্চাকে বাঁচানোরও কি দায়ভার ছিলনা ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের? এসব কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লিলি বেগমের এক নিকটাত্মীয়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা আরো বলেন, প্রথমত সাড়ে সাত মাসের গর্ভবতী মহিলাকে চেকআপের জন্য বদরুন্নেছা প্রা: হাসপাতালে নেয়া হয়েছে তাহলে সিজার কেন? আর সিজার করলে তো অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তুু অন্য রুমে কেন? তাছাড়া গর্ভবতীর মৃত্যুর সাথে সাথে বাচ্চার জন্য কি করলেন ডাক্তার? এমন প্রশ্নে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের মাঝে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় মহিলার মৃত্যুর সাথে সাথে কেনইবা দায়িত্বরতরা পালিয়ে গেলেন?
মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারিদিক থেকে লোকজন ছুটে আসলে হৈ হুল্লোর ও চিৎকার শুরু হয় এবং বদরুন্নেছা হাসপাতালকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনগত বিষয়ে সহযোগিতায় আশ্বস্থ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সামিউল্লাহ সামি। নির্বাহী সম্পাদক : মহসিন রায়হান। ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : আকরাম হোসাইন। সহ-ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ওমর ফারুক। আইন উপদেষ্টা : মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট বাংলাদেশ সু্প্রিম কোর্ট ঢাকা।
প্রধান কার্যালয় : ২১৯ মাজার রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬। বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয় : আরএকে টাওয়ার (৯ম তলা), প্লট নং ১/এ, নিশাত নগর, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। 📲 মোবাইল : ০১৭১৩৯২৬২৭৭, ০১৭১০১০১৬৯৯। বিজ্ঞাপন : ০১৭৭ ৯৭৪৬৬০৭ ☎️ ফোন : +৮৮০৯৬৩৮১৯২৪।
📧 Email : khoborerdakghar@gmail.com
“দৈনিক খবরের ডাকঘরে” প্রকাশিত সকল লেখার দায়ভার লেখক/প্রতিনিধির। আমরা লেখক/প্রতিনিধির চিন্তা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত লেখার সঙ্গে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল সব সময় নাও থাকতে পারে । তাই যে কোনো লেখার জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। ডেইলি খবরের ডাকঘর
about-us contact-us privacy-policy terms-and-conditions
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত খবরের ডাকঘর. কম ©২০১৮ -২০২১||
Leave a Reply