নম্রতা সামন্ত : একদিকে শ্বশুরবাড়ি বৌমা, অন্য দিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা… ছোটবেলা কোন্নগর পরে বালি। ছোট থেকেই লোকসঙ্গীত চর্চায় পারদর্শী সাথে সময় পেলেই মনের গভীরে আঁকা ছবি গুলো ফুটে ওঠে কাগজের পাতায় । পায়ের ছন্দেও মেতেছিলো ভুবন । বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ এবং নিজে একজন শিল্পী। ইনি স্মিতা দাস রায়।।

শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে জীবন বাজি রেখে কাজ প্রকাশে তিনি অনন্য । শুরু হয়েছিল তার নতুন এর পথ চলা । নিপীড়িত পরুষ দের পাশে থাকা….”অভিযান ” ওয়েলফেয়ার এন্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট” -এর হাত ধরে ।।

মনুয়া কান্ড, অনিন্দিতা রজত হত্যাকান্ড, সল্টলেকে ইন্জিনিয়ার স্বামীকে স্ত্রী ছেঁকা দেওয়া ও অত্যাচার, বাংলার যে কোন প্রান্তের নির্যাতিত পুরুষদের সাহায্যের জন্য মিছিল, বিক্ষোভ , সমাবেশ, ধর্ণা, বিভিন্ন থানায় ভিজিট , আইনি পরামর্শ, স্বাস্থ্য শিবির, অনাথ ও অসহায় মানুষকে সাহায্য বিভিন্ন কার্যাবলীতে সামিল হন ।

পুরুষশাসিত সমাজে অধীনস্ত হয়েও আজ বহুপুরুষ নির্যাতিত । যেহুতু ধারায় পুরুষ সম্পর্কিত কোনো আইন নেই , তাই আইনী জটিলতা -তে আটকে পড়ে বহু পুরুষ ।। এই সংগঠন খোঁজ খবর চালান , কোন পুরুষ কতটুকু দোষী বা নির্দোষ । সেই সকল পুরুষকে প্রকৃত সাহায্য করতে এই অভিযানের লড়াই আর এই লড়াইয়ের শরিক ” স্মিতা দাস রায় “।

সকল ব্যস্ততায় স্বামীর সাথে সম্পর্কের কথাও জানান যে , বন্ধত্ব সুলভ ঝগড়ার মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভালোবাসা । বিয়ের পর থেকেই একটা পুরুষ কে কাছ থেকে দেখে এবং যারা তাকে বড় করে তুলেছেন তাদের প্রতি সম্মান। স্বামীর সাথে কথা বলে বোঝেন সব পুরুষ তো খারাপ নয়। বরং হয়তো উল্টো । আইনি জটিলতায় ফেলে সমাজের একটা অংশ দুর্নাম করছে কিছু ভালো মানুষকে।। সেই সব পুরুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সংগ্রাম । “অভিযানের’ এর হাত ধরে ।” পুরুষ কথা ” র সহ সম্পাদিকা স্মিতা দাস রায়।।এক সম্পূর্ন নারীর গুণসম্পনা জন্য রইলো অনেক শুভেচ্ছা।